‘ভিআইপি’ পরিবহনের একটি বাসে হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই শিক্ষার্থীর পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ‘ভিআইপি’ পরিবহনের ৩০টি বাস আটক করে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বাসের ধাক্কায় ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী সাবিত আহত হন। বাস থেকে পড়ে তার দুই পা কেটে রক্তক্ষরণ হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “আমি আজিমপুর থেকে কলেজে আসার উদ্দেশ্যে ভিআইপি বাসে উঠি। বাস থেকে নামার সময় হাফ ভাড়া দিলে ভাড়া না নিয়ে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় হেল্পার। একপর্যায়ে বাস থেকে নামার সময় আমাকে সে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে পা ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই। বর্তমানে আমি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছি।”
ইলিয়াস আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “সাবিত আজিমপুর থেকে ঢাকা কলেজের উদ্দেশ্যে ‘ভিআইপি’ বাসে ওঠে। এরপর ঢাকা কলেজের সামনে এসে ভাড়া দিতে গেলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দেয় ওই গাড়ির হেল্পার। বিষয়টি আমরা জানলে ‘ভিআইপি’ বাস আটক করি।”
‘ভিআইপি’ পরিবহনের একটি বাসের চালক লিটন বলেন, “কোন বাসের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে, শুনেছি কলেজের এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। যার কারণে আমাদের বাসগুলো আটক করেছে।“
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, “আমরা বিষয়টি জেনেছি। নিউমার্কেট থানাকে জানিয়েছি। বিষয়টি নিউমার্কেট থানা কর্তৃপক্ষ দেখছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া ঠিক নয়।”