• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা
ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান আন্দোলনকারীদের। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

২০১৮ সালের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করেও এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবারের (১১ জুলাই) বিক্ষোভ মিশিলে অংশগ্রহণ করেননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা থেকে এ আন্দোলন কর্মসূচির শুরু হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিলটি রায়সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে তাঁতিবাজার মোড় থেকে গুলিস্তান হয়ে জিরোপয়েন্ট মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়।

এদিকে পুলিশ প্রশাসন কোটা আন্দোলনকারীদের কাউকে আগামী চার সপ্তাহ সড়কে বসতে দেবে না বলে জানিয়েছে। এরপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ করে, তাহলে পুলিশ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, “আপিল বিভাগ সাবজেক্ট মেটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। সাবজেক্ট মেটারে (বিষয়বস্তু) কোটা নেই, সেটিই চলবে। রায় পেলে আবেদন (লিভ টু আপিল) করব। তখন আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব, আর আন্দোলন করার যৌক্তিক কারণ নেই। আপনারা সবাই রাস্তা ছাড়েন। আর জনদুর্ভোগ করবেন না।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়, আজকে আমরা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণে নিষেধ দিয়েছি, তারপর তারা যদি যায় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমরা এর দায় নেব না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আকরাম বলেন, “আজকে বিক্ষোভ মিছিলে আমরা সমন্বয়ক কমিটির কেউ অংশগ্রহণ করিনি, কারণ আজকের পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে নেই। তাই আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিনি।”

Link copied!