গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনে বসের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা তিন বছর ধরে বিভাগে শিক্ষক সংকটে ভুগছেন। বিভাগে মাত্র একজন শিক্ষক আছেন। তিনি একা পুরো বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। তারা ভালো শিক্ষা পাচ্ছেন না।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার মিম বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় আমরা প্রথম দিকে সিরিয়ালে ছিলাম। বিবিএ ফ্যাকাল্টির সবচেয়ে ভালো বিভাগ হচ্ছে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ। আমরা সেই বিভাগে ভর্তি হয়েছি। ভালো ফল করব। কিন্তু আমাদের তৃতীয় বর্ষের পাঁচটি কোর্সের মধ্যে রিয়েল এস্টেট ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের এখন পর্যন্ত কোনো ক্লাস হয়নি। এ ছাড়া ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিসিশন ও লিগ্যাল এনভায়রনমেন্ট ইন বিজনেস কোর্সের অর্ধেক শেষ হয়নি। শুধু মানি অ্যান্ড ব্যাংকিং কোর্সের ক্লাস হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকসংকটের কারণে পরীক্ষার আগে তাড়াহুড়ো করে ক্লাস নেওয়া হয়। এতে আমরা ভালোভাবে পড়া বুঝতে পারি না। ফলে আমাদের পড়ালেখার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান চাই।”
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এস এন রতন বলেন, “আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দু–একটা ক্লাস হয়েছে। ক্লাস শুরু হওয়ার সাত মাসের মধ্যে আমরা কোনো মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে পারিনি এবং আমাদের দুটি কোর্স এখনো শুরু হয়নি। এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক যে আমাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের পরীক্ষা শেষ করেছে। আমরা মানসিক চাপের মধ্যে আছি। আমরা এখন পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছি। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আমাদের দাবি পূরণ না করলে আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেব।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৩৫১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র দুজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষক চাইছে, এটা তাদের মৌলিক অধিকার। শিক্ষকের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ( ইউজিসি) ও শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি।”