• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচি পালন


নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচি পালন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য ড. মোঃ আব্দুল বাকী এবং রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসে বের হয়ে উপাচার্যের বাস ভবনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন বলেন, “গতকাল (১৭ আগস্ট) এক আনসার ভাই আমাকে বলছিল, ‘এই ভিসি কতটা নির্লজ্জ, তারা ছাত্রদের কতটা কষ্ট দিচ্ছে।‘ একজন আনসার ভাই যদি এই জিনিসটা বোঝে, আপনি একজন শিক্ষিত হয়ে কীভাবে এটা বোঝেন না। সংগ্রামী ভাইয়েরা, এই ভিসি একজন নির্লজ্জ ভিসি, একজন দুর্নীতিবাজ ভিসি। আমরা শুনেছি, তার টাকার প্রতি এত লোভ, সে বাংলোর ভাড়া দিয়ে বাসা ভাড়া দেন। যে বাসা ভাড়ার লোভ সামলাতে পারে না, ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।”

বনী ইয়ামিন আরও বলেন, “আমরা এখান থেকে বলে দিতে চাই, আজকের মধ্যে যদি আপনারা পদত্যাগ না করেন, নির্লজ্জ ভিসি, প্রভিসি যদি পদত্যাগ না করেন, আমরা কাল থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেব। আমাদের ছাত্ররা অনশনে যাবে। দিন রাত করে আমরা এই ভিসির বাংলো পাহাড়া দেব।”

আরেক সমন্বয়ক মারুফা বলেন, “আমরা মা বাবার পরে সাধারণত সবাই শিক্ষকদের শ্রদ্ধার আসনে বসাই। কিন্তু ইতোমধ্যে আমাদের ভার্সিটির নির্লজ্জ ভিসি, প্রো-ভিসি প্রমান করেছেন মা-বার পরে যে তাদের সম্মান দিই, ওই সম্মানের যোগ্যতা তাদের নেই। যখন কোটা আন্দোলনে আমার হাজার হাজার ভাই বোনেরা মারা যাচ্ছিল তখন এই ভিসি রেস্টুরেন্টে বসে হ্যাপি বাড্ডের গান লাগিয়ে কেক কেটেছে। সে কীসের ভিসি, সে কীসের শিক্ষক আমি জানতে চাই সে কীভাবে প্রথম আলোকে বলেছে পদত্যাগ করার কারণ পায় না।”

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট থেকে নোবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট,  ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের প্রধানসহ অনেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে অনশন, মার্চ টু রিজাইনসহ মার্চ টু ঢাকা (ভিসির বাসা ঘেরাও) কর্মসূচির হুঁশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীরা।

Link copied!