• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাবিকে শতভাগ আবাসিকীকরণের দাবি শিক্ষার্থীদের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
ঢাবিকে শতভাগ আবাসিকীকরণের দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শতভাগ আবাসিকীকরণসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘হলে আমার বৈধ সিট দিতে হবে দিতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ আবাসিক নিশ্চিত করো করতে হবে; ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশের বিশ্ববদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহ আলী বলেন, “আমরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসি উচ্চতর শিক্ষার জন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমরা দেখতে পাই আমাদের একটি বৈধ সিট নেই, আবাসন সমস্যা প্রকট। এতদিন তো গেস্টরুম গণরুমও ছাত্রলীগের দখলে ছিল। যার কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে বাইরে থাকতে হয়েছে। এখন থেকে আমরা আর বাইরে থাকতে চাই না। আমরা শতভাগ বৈধ সিট চাই।”

ফাতেহ আলী আরও বলেন, “বাইরের বাসা ভাড়ার জন্য আমাদের তিন-চারটা টিউশনি জোগাড় করতে হয়। রান্না করে খেতে হয়, থাকার জন্য খাওয়ার জন্য লড়াই করতে করতে আমাদের আর পড়াশোনার সময় থাকে না। জুলাই বিপ্লবের পর এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। তাই আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ আবাসিকীকরণ হোক।”

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “সবাই দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো কীভাবে বছরের পর বছর দখলদারত্বের শেকলে আবদ্ধ ছিল। কীভাবে বছরের পর বছর শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই পুঁজি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কী অন্যায় জুলুম চালানো হয়েছে। মধুর ক্যান্টিনে রাজনৈতিক প্রটোকল দেওয়ার নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা, বাধ্যতামূলক প্রোগ্রাম এবং ক্লাস পরীক্ষার সময়টুকুতেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিস্তার পায়নি। আবার ছেলেদের হলগুলোতেও দেখা যেত তাদের সারা রাত টহল দিতে বাধ্য করা হতো, এমনকি শীতের রাতেও অযথা তাদের হলের বাইরে পাঠানো হতো। এত কিছুর পরেও তারা ঠিকমতো ঘুমানোর আশ্রয়টুকুও পেত না। বারান্দা, ছাদ, মসজিদসহ বিভিন্ন জায়গা খুঁজতে হতো।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “বর্তমানে শিক্ষাগত দিক থেকে মানোন্নয়ন এবং গবেষণা অগ্রসর করতে আবাসন সংকট নিরসন করাকে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে করছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সংখ্যার অনুপাতে মেয়েদের হল এবং সিটের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। ফলে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেকে সিট পায় না। তাই হল সংখ্যা বাড়িয়ে সিট সংকট নিরসন একটি যথাযথ প্রক্রিয়া হবে বলে মনে করছি।“

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করতে হবে।
২. প্রথম বর্ষের প্রথম দিন থেকেই সিট প্রদান করতে হবে।
৩. মেয়েদের হল সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৪. নতুন হল নির্মাণের আগ অবধি যাদের আবাসন সমস্যা আছে, ক্লাস শুরুর আগে তাদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. হলগুলোর সংস্কার করতে হবে। (বিল্ডিংগুলো নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা করা, খাবারের মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, লন্ড্রিসেবা, বিশুদ্ধ পানি, অবকাঠামোগত সংস্কার, প্রশাসন কর্তৃক তদারকি ইত্যাদি)।
৬, মেয়েদের হলের আশপাশে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

Link copied!