• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়


ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে এই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এই মহাসড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলা অনুষদ ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যাবসা প্রশাসন অনুষদ ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় বাগ্বিতণ্ডা হয় শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারীরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেট ভাঙচুর করে ও বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, “যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকেও সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের স্থানীয় বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।”

Link copied!