কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ারও দাবি জানান।
বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনতিবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া বলেন, “উপাচার্য স্যার বলেছেন হলসমূহে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও টাকা ঢুকেছে। আমি বলতে চাই, হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের অভাব। শিক্ষার্থীরা কী অবস্থায় আছে আপনি একটিবারের জন্য খবর নিয়ে দেখেছেন? আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, যেভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে হল এবং ক্যাম্পাস বন্ধ করেছেন, ঠিক একইভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আমাদের হল এবং ক্যাম্পাস চালু করতে হবে। আমাদের দাবি যদি পূরণ না হয়, আমরা আরও কঠোর থেকে কঠোর হতে বাধ্য হব।”
শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আমার অর্জন, আমি নিজের যোগ্যতায় এখানে থাকতে এসেছি। মাননীয় উপাচার্য যে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এর আগেও করোনার কারণে একটা সেশন জটে পরেছি। আরেকটা সেশন জটে পরতে চাই না। আমরা চাই শিগগিরই যেন এই সমস্যার সমাধান হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে যে অপবাদ দিয়েছেন সেটার জন্য উপাচার্যকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
গত রোববার (৫ মে) আবাসিক হল নিয়ে উস্কানিমূলক ও মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন তারা।