সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ২০২৫ সালের প্রথম শ্রেণি ও নার্সারিতে ভর্তির লটারিও স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কলেজের পৃথক দুই বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে পুরান ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে কলেজের শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ ভাঙচুরসহ ক্যান্টিনেও হামলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মর্নিং শিফট, ডে শিফট ও কলেজ শাখার সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সবকিছু অনুকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।
প্রথম শ্রেণি ও নার্সারির লটারি স্থগিতের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৫ সালের প্রথম শ্রেণিতে (বাংলা ভার্সন) এবং নার্সারি (ইংরেজি ভার্সন) ভর্তির জন্য নির্ধারিত লটারি ও ভর্তির তারিখ বিশেষ কারণবশত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।
এর আগে, রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে রোববার (২৪ নভেম্বর) পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। আরও কয়েক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।
এরপর সোমবার ১২টার দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শত শত শিক্ষার্থী মিলে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান। এ সময় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।