আজ পহেলা ফাল্গুন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯৯১ সালের পহেলা ফাল্গুন ৩টি বিভাগ, ২০৫ জন ছাত্র ও ১৩জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যদ্যালয়। প্রতিবছর পয়লা ফাল্গুন নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি উদযাপন করল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ দিবসের সূচনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য।
পরে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের ইউসি সেন্টার ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এরপর উপাচার্য সকলের উপস্থিতিতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে ৩৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে সিলেটের মানুষের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে আসছে। তাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা, আন্দোলন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়েই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাদের সেই স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং প্রশাসন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
উপাচার্য সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা প্রত্যাশা করে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় পর্যায়েও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে শাবিপ্রবি। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শাবি দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। পাশাপাশি বহির্বিশ্বেও অবদানের ছাপ রেখে সিলেটের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
অনুষ্ঠানে স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) চন্দ্রনীনাগ, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মাহবুবুল হাকিম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।