যৌন নিপীড়নের দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সচিব আবু হাসান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় পূর্বে গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর কারণে তিনি জাবিসহ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে পারবেন না।
এদিকে ওই সিন্ডিকেট সভায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেওয়াল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়ালচিত্র মুছে ব্যাঙ্গাত্মক গ্রাফিতি অঙ্কনের ঘটনায় জাবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার আবু হাসান।
এর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার ও একাধিক `নৈতিক স্খলনের` অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ গত বছরের ১১ই আগস্ট জনির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের জন্য স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভাপতি ও রেজিস্ট্রার সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি মাহফুজা মোবারক, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ-উল আলম সহযোগী হিসেবে ছিলেন।
২০১৮ সালে জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মাহমুদুর রহমান জনি ২০১২ সালে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।