মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথির বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। গেল বছরের এবার মহাসমারোহে অন্যান্য বারের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে মণ্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হয়। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে পূজা শুরু হবে। এরপর ৮টা থেকে শুরু হবে অঞ্জলি। অঞ্জলি দেওয়া ও হাতে খড়ি দেওয়ার পর্ব চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এছাড়াও চলবে সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন।
জানা যায়, জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ের নাট মন্দিরজুড়ে বাঁশ ও চট দিয়ে ৩৫ ফুট উঁচু প্রতিমা সরস্বতী প্রতিমা নির্মাণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া হলের মাঠজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদের আয়োজনে বিভিন্ন আইডিয়া ও থিমে ৭২টি মণ্ডপের চলবে দেবীর আরাধনা। এছাড়াও ছাত্রীদের পাঁচটি হল রোকেয়া হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, শামসুন্নাহার হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলেও রয়েছে পূজার বিশেষ আয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান বলেন, “এ বছর চারুকলা অনুষদের ৩৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। এই পূজাকে ঘিরে প্রতি বছরই জগন্নাথ হলে প্রচণ্ড ভিড় হয়। এ বছর পূজা, পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় দর্শনার্থীর উপস্থিত অনেক বেশি হবে।
পূজার সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহিরলাল সাহা বলেন, “হলের কেন্দ্রীয় উপাসনালয়, চারুকলা অনুষদসহ এ বছর ৭২টি মণ্ডপে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজার পাশাপাশি ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস। এছাড়া অমর একুশে বইমেলা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দর্শনার্থীদের আসার সুবিধার্থে মেট্রোরেল। যার ফলে হলে ভক্ত দর্শনার্থীর ভিড় অন্য বারের তুলনায় এ বছর বেশি হবে বলেই ধারণা করছি। তাই কয়েক দফায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।”
মিহিরলাল সাহা আরও বলেন, “বুধবারের এই মহোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সাহায্য কামনা করছি। সেই সঙ্গে আমাদের চেষ্টা থাকবে, একটা নিরাপদ, সুষ্ঠু ও সুন্দর পূজা উপহার দেওয়ার।”