নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী রিশাদ কবিরের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
রিশাদ হতে চেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়াশোনার অর্থের যোগানদাতা বাবাকে দিতে চান বিশ্রাম। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষকে আরও কত কত স্বপ্ন তার। কিন্তু আজ সব স্বপ্ন অধরা হওয়ার পথে।
দুটি কিডনি হারিয়ে রিশাদ এখন মৃত্যুপথের যাত্রী। সেই ৬ বছর বয়সে কিডনি জটিলতা ধরা পড়ে তার। এরপর ওষুধ খেয়ে ভালোই চলছিল। কিন্তু গত ৮ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন রিশাদ। চিকিৎসক জানিয়েছেন রিশাদকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসা। যেতে হবে পাশের দেশ ভারতে। সেখানে চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন অন্তত ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু রিশাদের বাবার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব।
রিশাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রিশাদকে কিডনি দিয়ে বাচাঁতে চাচ্ছেন বাবা-মা। রক্তে গ্রুপ মিলেছে, এখন যার সঙ্গে রিশাদের টিন্সু বেশি মিলবে এবং কিডনি ম্যাচিং হবে সেই কিডনি দিতে পারবেন। তাই অতিদ্রুত কিডনি অপারেশনের জন্য রিশাদকে ভারতে নেওয়া প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিশাদ কবির গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানার ধাপেরহাট ইউনিয়নের নওয়াগাড়ী গ্রামের এক দরিদ্রপরিবারের সন্তান। বাবা আল-আমিন সরকার বেসরকারি একটি স্কুলের শিক্ষক, মা সাবনা বেগম একজন গৃহিণী।
রিশাদ এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হন। সিজিপিএ-৩.৮০ পেয়ে বিবিএ শেষ করেন এবং এমবিএ প্রথম সেমিস্টারে সিজিপিএ ছিল ৩.৮৫।