এইচএসসির দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টি, পরীক্ষার্থীদের জন্য যে নির্দেশনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
এইচএসসির দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টি, পরীক্ষার্থীদের জন্য যে নির্দেশনা

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়। এতে কেন্দ্রে পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। এমনকি অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিতেও পারেননি। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয়পত্র, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে হবে আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে ইংরেজি-২ পরীক্ষা নেওয়া হবে। সবগুলো পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে। ঠিক এ সময়ে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই ভোগান্তি এড়াতে পরীক্ষার্থীদের সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে বলেছেন পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, “এখন বর্ষা মৌসুম। হঠাৎ বৃষ্টি নামতে পারে। আগামী তিনদিন ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। যদিও এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে ওই সময়ে বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। খেয়াল করলে দেখবেন, আজকের দিনটাতে সকাল বেলা মেঘ ছিল। হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। এরপর রোদ উঠেছে, আবার বৃষ্টি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামীকালও (মঙ্গলবার) সকালে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।”

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “যেহেতু বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তাই পরীক্ষার্থীদের সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া উচিত হবে। তারপরও কেউ যদি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছে, তাকে সময় সমন্বয় করে পুরো সময়ে পরীক্ষা দিতে সুযোগ দেওয়া হবে। সেই নির্দেশনা আমরা দিয়েছি।”

এদিকে কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাতের আভাস থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। তাতে প্রয়োজনে দেরিতে পরীক্ষা শুরু করে সময় আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সমন্ব করতে বলা হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রের মূল ফটক খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। তবে বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ড এবং সিলেট বিভাগের চার্ জেলায় মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। ফলে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে প্রথমদিনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ২২ হাজার ৫৫২ জন। প্রথম দিনের পরীক্ষায় তাদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার ২০৩ জন।

Link copied!