মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের বাধার প্রতিবাদে হাতে পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলি ও মুখে টেপ আটকানো অবস্থায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাশে এমন প্রতীকী ভাস্কর্য দেখা যায়।
জানা গেছে, এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে বইমেলায় আদর্শের স্টল বরাদ্দ না দেওয়া, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানিসহ বইমেলাতে লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মতো বিষয়গুলোতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা ও ছাত্র ইউনিয়নের ‘বিদ্রোহী’ অংশের সভাপতি নজীর আমিন চৌধুরী বলেন, “বর্তমান সময়ে আমরা দেশের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখছি, যেখানে মানুষের বাক্স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে আমরা এ ভাস্কর্য স্থাপন করেছি।”
বিশ্বকবিকে ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথ হিসেবে যে আবেদন সেটি এ ধারণার সঙ্গে ভালো হতে পারে। তাই তার ভাস্কর্য প্রতীকীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।”
এদিকে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার বলেন, “বাঙালি মাত্রই স্বীকার করবেন রবীন্দ্রনাথ মুক্তচিন্তা শিল্পসাহিত্য এবং সৃজনশীলতার প্রতীক। এখন মুক্তচিন্তা, নতুন লেখা রাষ্ট্র কর্তৃক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা দেখিয়েছি তিনি হাতের বইটা খুলতে পারছেন না, মুখে টেপ লাগানো। এর মাধ্যমে মুক্তচিন্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সেটিই বোঝাতে চেয়েছি।”
প্রসঙ্গত, বইমেলার টিএসসিসংলগ্ন প্রবেশপথে দেখা মিলবে এ ভাস্কর্যের। বাঁশ, থার্মোকল, বাইরে বইয়ের পাতার আবরণ দিয়ে তৈরি এ ভাস্কর্যটি মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে ভাস্কর্যটি থাকবে বলে জানা গেছে।