মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন প্রজ্ঞাপনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত নীতিমালা বাতিল করে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ফিশারিজ সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা দাবি করেন, মানববন্ধনে খসড়া বিধিমালা বাতিল করে মাছের যাবতীয় চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র মৎস্যবিদদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের ন্যায্য অধিকার দ্রুত সময়ে ফিরিয়ে না দিলে পরবর্তীতে অনশন, ঘেরাও, অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জিসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর মোজতাফিজুর রহমান, বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাবেক ও বর্তমান ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
এ সময় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফুড ফর দ্যা হাংরি’-এর মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, “যারা যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তারাই শুধু সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন অন্য কেউ নয়। নইলে মৎস্য ক্ষেত্রে যে বিপর্যয় নেমে আসবে তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।”
ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, “কোনো চিকিৎসাপত্র যেই প্রাণীর ওপর লেখা হয় তার ফিজিওলজি, এনাটমি, এগুলোর ওপর একটা বেসিক জ্ঞান থাকতে হয়। ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের ছাড়া ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটদের এটি থাকার কথা নয় এবং কি কারণে একই মন্ত্রণালয়ের দুইটি অধিদপ্তরের কার্যক্রম কেবল একটি অধিদপ্তরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের থামিয়ে দেওয়ার জন্যে যে ষড়যন্ত্রমূলক আইনটি করা হচ্ছে সেটি কোনো ক্রমেই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। যদি আইনটি বাস্তবায়ন হয় তাহলে মৎস্য সেক্টরের আর কোনো উন্নয়ন হবে না।”
এ বিষয়ে ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি ড. মো. মুনজুরুল আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৎস্যবন্ধন নীতির সঠিক প্রয়োগ এবং মৎস্য গ্যাজুয়েটদের নিরলস পরিশ্রমে যখন মৎস্য খাত দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২৩ প্রণয়ন হতে যাচ্ছে। সেখানে মৎস্য খাতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কয়েকটি বিধি যুক্ত হয়েছে যা সকলকে চরম হতাশায় নিমজ্জিত করেছে। ফিশারিজ বিভাগকে ক্ষুন্ন করার জন্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের প্রতি দাবি তারা যেন এটা থেকে বিরত থাকেন। নয়তো কঠোর আন্দোলন করা হবে।”