বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং প্রতিরোধ করতে হলে শিক্ষার্থীসহ সকলের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভা কক্ষে র্যাগিং বিরোধী মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসব কথা বলেন।
শেখ আবদুস সালাম বলেন, “মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের পাশাপাশি র্যাগিং প্রতিরোধের জন্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সবসময় শাস্তি নিশ্চিতের দিকে না গিয়ে শাস্তির পর্যায়ে যেন না যায় সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের প্রিভেন্টিং এফোর্টস দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিভাগের শিক্ষক, ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রক্টরকে ভূমিকা রাখতে হবে। সকলের কর্তব্যপরায়ণতা বাড়িয়ে টিচিং রোল ও গার্ডিয়ান রোলের ভুমিকার সমন্বয় রাখতে হবে যা র্যাগিং প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ যদি র্যাগিং প্রতিরোধে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় তবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও বিভগীয় সভাপতিসহ অনুষদের ডিনদের ভূমিকাই মূখ্য।”
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, “সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতগুলোর সমন্বয়ে একটা পরিকল্পিত র্যাগিং বিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে র্যাগিং বিরোধী কার্যক্রম ও কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হবে।”
সভায় অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।