ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে অরক্ষিত করে ‘ইবি থানা’ অন্যত্র সরানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে
বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, স্থানীয় বিএনপি, জমায়াত ও এর অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। এসময় আন্দোলনকারীরা বিগত সরকারের ‘থানা স্থানান্তরের’ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পার্শ্ববর্তী সাতটি ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকার মানুষের মতামত উপেক্ষা করে ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থান্বেষী কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি অসত্য তথ্য দিয়ে এই থানা সরিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ঝাউদিয়ায় নেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মতামত না নিয়ে এমন অপচেষ্টা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত রাখতে ইবি থানা তার পূর্বাবস্থায় বহাল রাখার কোনো বিকল্প নেই। ইবি থানা ইবিতেই থাকবে, অন্য কোথাও এই থানা স্থানান্তর করা যাবে না।
ইবি থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি তৈহিদুল হাসান লাবু বলেন, “শহীদ জিয়ার গড়া আমাদের গৌরবময় ইসলামী বিশ্ববিদালয়কে অস্থিতিশীল করতেই এখানে প্রতিষ্ঠিত দীর্ঘদিনের থানা সরিয়ে ফেলার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিল পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকার। সরকার পতনের এক দিন আগে গত ৪ আগস্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিকটে দেখিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরের ঝাউদিয়ায় এ থানা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকার মানুষের সম্মতি আছে বলেও অবৈধ সরকারের হাতে গোনা কিছু দোসর নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মন্ত্রণালয়কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেয়।”
তৈহিদুল হাসান আরও বলেন, “সম্প্রতি পতিত সরকারের সুবিধাভোগিরা ঝাউদিয়ায় থানা উদ্বোধনের জন্য সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টি করেছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আজকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আন্দোলনস্থলে এসে থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”