স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের অপতৎপরতার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে সহসমন্বয়ক হাসানুল বান্না অলী বলেন, “স্বৈরাচারের দোসরা বিভিন্ন স্থানে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। কুষ্টিয়ায় আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অতিদ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। পতিত সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যেন দেশে কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সরকারের প্রতি সেই আহ্বান জানাই। আওয়ামী লীগ আমাদের ভোটের অধিকার, বাক স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়েছে। তারা জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস হামলা করেছে। বাংলাদেশের কোথাও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ কোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করতে পারবে না।“
সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আওয়ামী লীগ বিজয় দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই। কারণ তারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তারা নামে বেনামে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে। আগামীকাল (১৬ ডিসেম্বর) তারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে বিজয় দিবস পালনের পরিকল্পনা করছে। স্বৈরাচারীদের কোনোক্রমে বিজয় দিবস পালন করতে দেওয়া হবে না। তারা বিজয় দিবস পালনের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ইন্ডিয়ায় বসে স্বৈরাচারীরা ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। আমরা ভারতকে বলতে চাই দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে। আপনারা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে কোনো হস্তক্ষেপ করতে চাইলে এর পরিণাম ভালো হবে না।”