• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করা আমদের সবার দায়িত্ব : চবি উপউপাচার্য


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করা আমদের সবার দায়িত্ব : চবি উপউপাচার্য

‘সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সুনীল অর্থনীতির প্রসারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার (সিইউমান) উদ্যোগে অষ্টমবারের মতো প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন।

সম্মেলনের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল জিদানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, মেরিন সায়েন্স ইনিস্টিউটের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহ-নেওয়াজ চৌধুরী, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় ও নাজেমুল আলম মুরাদ। এছাড়াও সম্মেলনে কলকাতা ইউনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কৃতি সরকার উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, “সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করা আমদের সবার দায়িত্ব। আমি আশা করি আগামী চারদিন আপনারা আলোচনার মাধ্যমে এই সম্পদ রক্ষা করার নীতিগুলো নির্ধারণ করে আনতে পারবেন।”

অধ্যাপক ড. মো. শাহ-নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, সমুদ্র একটি যৌথ সম্পদ, যা একটি দেশের একা রক্ষা করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক সহযোগিতা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি।

সম্মেলনের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল জিদান বলেন, “আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ও বিশ্বের শিক্ষার্থীদের একত্রিত করার মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা এবং বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আজকের এই আয়োজন ধন্য হয়েছে।”

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বৈঠক হচ্ছে ১০টি কমিটির। কমিটিগুলো হলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি), জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ-১ (ডাইসেক), জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচআরসি), আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও), পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক সংস্থা (ওপেক), আর্কটিক কাউন্সিল, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি), বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আইপি)।

এসব কমিটিতে বিভিন্ন দেশের হয়ে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, কূটনীতি পরিচালন ও দলবদ্ধভাবে কাজ করে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সুনীল অর্থনীতির বিস্তার ও এর টেকসই বিকাশে সম্ভাব্য বাধা উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সময়োপযোগী সমাধান নিরূপণ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তারা আলোচনা করবেন।

২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে এই ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কূটনীতিক কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।

Link copied!