অনলাইন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশে “জবিতে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি-দখলবাজি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন ও একই বিভাগের ১২তম ব্যাচের ফরাজি মাসুম বিল্লাহ।
তারা দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদে তাকে জড়িয়ে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) “জবিতে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি-দখলবাজি” শিরোনামে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবাদলিপিতে ওই দুই শিক্ষার্থী বলেন, “প্রকাশিত সংবাদে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করার কথা বলা থাকলেও আমরা এ বিষয়ে বিন্দু পরিমাণ অবগত নই। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থেকে আন্দোলন করেছি এবং সাম্প্রতিক বন্যায় বন্যার্তদের সহযোগিতায় যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমরা দুজন কোনো চাঁদাবাজি ও দখলদারির সাথে জড়িত নই।”
তারা আরও বলেন, “ক্যাম্পাসের সামনে আরামবাগ হোটেলে থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করার যে কথা বলা হয়েছে, সেটাও ভিত্তিহীন। এর কোনো প্রমাণ দিতে পারলে আমাকে জনগণের হাতে তুলে দেবেন, তারাই আমাদের বিচার করবে।”
তারা দাবি করেন, “এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে আমরাও শুনেছি। তবে কারা এসব করছে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত, আমরা এ বিষয়ে জানি না।”
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক, হয়রারিমূলক এবং সম্মানহানিকর। এই সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আমরা এ ধরনের কাল্পনিক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক। এখানে কোনো মিথ্যা তথ্য নেই। এর উপযুক্ত প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। জসিম উদ্দিন ও ফরাজি মাসুম বিল্লাহ অন্যদের সাথে একই সাথে চলাফেরা ও যাবতীয় কার্যক্রম করায় সূত্র মতে অভিযুক্তদের তালিকায় তাদেরও নাম এসেছে। তবে অধিকতর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদা তোলার সময় জসিম উদ্দিন ও ফরাজি মাসুম বিল্লাহ সেখানে ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে বাকি অভিযুক্তরা সেখানে ছিলেন বলে তথ্য প্রমাণ রয়েছে।