‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি বাধায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে চতুর্থ দিনের মতো কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি শিক্ষর্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধের উদ্দেশে বের হন।
ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের হয়ে আনসার ক্যাম্পের সামনে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। বাধা অতিক্রম করার সময় বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের দমাতে লাঠিচার্জ করলে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দীন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ মিয়া কাওছার, তৌহিদুল ইসলাম জিসান, আল শাহরিয়ার অন্তু, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্তাটুয়েন্টিফোরের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি অনন মজুমদার এবং চ্যানেল আইয়ের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সৌরভ সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, “আমি নিশ্চিত নই কতজন আহত হয়েছেন। আমিও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই আছি। তবে তিনজনকে দেখেছি হাসপাতালে নিতে।”
চাকরির সকল গ্রেডে ও সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা নিরসনের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি অনুসারে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি অংশে অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালীন সময়ে তারা লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।
এই বিষয়ে ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসাইন বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটার বৈষম্য দূর করতে হবে এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই, আর নয় আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
এর আগে একই দাবিতে গত ৪, ৭, ৮ এবং ১০ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রায় চার ঘণ্টা করে অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।