• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘রাষ্ট্রপতিকে পদে রেখে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে’


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
‘রাষ্ট্রপতিকে পদে রেখে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে’
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। ছবি : প্রতিনিধি

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সহ-সমন্বয়ক ফারিনার সঞ্চালনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখনো ঘোরাফেরা করছে। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি স্বরূপ। ছাত্রলীগ জুলাই মাসে যে নৃশংসতা চালিয়েছে আমরা কোনোভাবে ক্যাম্পাসে তাদেরকে থাকার অনুমতি দিতে পারি না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আমরা দাবি জানিয়ে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার এটাই সময়।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সম্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, “শেখ হাসিনার পলায়নের পর আমরা ভুল করেছি রাষ্ট্রপতিকে তার পদে রেখে। সেই ভুলের মাশুল এখনো আমাদেরকে দিয়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের ভুল হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ বাক্য পাঠ করতে যাওয়ার জন্য। এখনো সারা দেশে ছাত্রলীগ বিভিন্ন জায়গায় হামলা করছে, আওয়ামী লীগ মিছিল করছে।“  

তৌহিদ সিয়াম আরও বলেন, “আমরা দাবি জানাচ্ছি, অতিদ্রুত শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে না হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি পদত্যাগ না করলে আমরা বঙ্গভবন পর্যন্ত লংমার্চ দিতে বাধ্য হবো। ছাত্রলীগসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের যত অঙ্গ সংগঠন ফ্যাসিস্টদের হাতকে শক্ত করেছে তাদের বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলার মাটিতে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। যে সংগঠন গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি গণহত্যা চালিয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।”

Link copied!