আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২২-২৩) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়মিত মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ইউজিসি অনুমোদিত দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাবেন। যেখানে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতকের ফলাফল সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ২৫ (সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে) রাখা হয়েছে।
প্রার্থীদের যোগ্যতা : অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে। স্নাতকে সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩ দশমিক ২৫ এর পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএর যোগফল ৮ এবং আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। মানবিকের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএর যোগফল ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএর যোগফল ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩ থাকতে হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা অনুষদ কর্তৃক ডিগ্রির সমতা নিরূপণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যেভাবে হবে পরীক্ষা
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার পর আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটগুলোর পক্ষ থেকে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করা হবে। এরপর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাতালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
নেই বয়সের সীমারেখা, পাবেন না আবাসিক সুবিধা
প্রার্থীর বয়সের কোনো সীমারেখা না থাকলেও স্নাতকোত্তরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা অনাবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। অর্থাৎ তারা আবাসিক হলে আসন পাবেন না (বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
আসন সংখ্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩টি বিভাগ ও ১৩টি ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তরের আসন রয়েছে ৬ হাজার ২৭০টি। অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক শেষেই বাইরে স্নাতকোত্তরের জন্য চলে যান। কেউ বা চাকরিতে প্রবেশ করেন। সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা নির্ধারিত না। ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাবেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি গেল বছর ৩০ আগস্ট এক সভায় ভর্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অনুমোদিত শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তরের সুপারিশ করে। সেই বছরের ১ নভেম্বর তা চূড়ান্ত করা হয়।