• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এনএসটি ফেলোশিপ পেলেন কুবির ৫১ শিক্ষার্থী


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম
এনএসটি ফেলোশিপ পেলেন কুবির ৫১ শিক্ষার্থী

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৭টি বিভাগের ৫১ জন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের  জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রাণালয়ের উপসচিব রতন কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত দুইটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

দুই ক্যাটাগরি ফিজিক্যাল সাইন্স ও বায়োকেমিক্যাল এন্ড মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৪ জন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ থেকে ৯ জন, গণিত বিভাগ থেকে ৮ জন, পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে ৭ জন, রসায়ন বিভাগ থেকে ২ জন, ফার্মেসি বিভাগ থেকে ৮ জন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১ জন মনোনীত হয়েছেন। ফেলোশিপ পাওয়া মোট ৫১ জন শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে এককালীন ৫৪ হাজার টাকা পাবেন।

এনএসটি ফেলোশিপপ্রাপ্ত ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ রাসেল বলেন, “শিক্ষার্থীরা অনেক সময় টাকার অভাবে মানসম্পন্ন গবেষণা করতে পারে না। এনএসটি যে ফেলোশিপ দিয়েছে তা আর্থিকভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে। নতুন গবেষকদের জন্য এনএসটির এই ফেলোশিপ প্রদান নিঃসন্দেহে চমৎকার উদ্যোগ।”

এনএসটি ফেলোশিপপ্রাপ্ত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল আউয়াল বলেন, “আমি আমার থিসিসে মেক্সিন নিয়ে গবেষণা করেছি, যার ওপর আমাকে ফেলোশিপ দেওয়া হলো। ফেলোশিপ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ ফেলোশিপ আমার গবেষণার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকাংশে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমার সুপারভাইজার মেন্টর ড. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী স্যারের প্রতি। স্যারের গাইডলাইন ও অনুপ্রেরণা ছাড়া এ অর্জন সম্ভব ছিল না।”

শিক্ষার্থীদের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যায়লের শিক্ষার্থীরাও যে জ্ঞান প্রাকটিসের জায়গায় আছে তার উদাহরণ হলো এই এনএসটি ফেলোশিপের আওতায় আসা। আমাদের শিক্ষার্থীদের রিসার্চ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এরকম সাফল্য ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকুক।”

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!