সারা দেশে চলমান তাপদাহের (হিট ওয়েভ) কারণে অনলাইনে ক্লাস এবং পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্লাস-পরীক্ষা সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ জরুরি সভায় স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া সারা দেশের ও স্থানীয় তাপমাত্রার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের আলোকে অনলাইন ক্লাস বিষয়ক পরবর্তী নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও হল প্রভোস্টরা।
সভার নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়
১. দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকা। বের হলে রোদ এড়িয়ে চলা, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা।
২. হালকা রঙের (সম্ভব হলে সাদা) ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা।
৩. বাইরে গেলে ছাতা (সম্ভব হলে কালো রঙের), চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি বা ক্যাপ, কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখা।
৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করা।
৫. তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
৬. সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা ও বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
৭. তীব্র গরমে আইসক্রিম ও কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকা। অনেকে মনে করেন, আইসক্রিম ও ঠান্ডা বোতলজাত কোমল পানীয় খেলে গরম কম লাগবে। কিন্তু এগুলো খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৮. নিয়মিত গোসল করা। সম্ভব হলে দিনে একাধিকবার পানির ঝাপটা নেওয়া বা গোসল করা।
৯. রোদ থেকে ফিরে সাথে সাথে গায়ে ঠান্ডা পানি না দেওয়া। শরীরকে ঘরের তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে ঘাম শুকিয়ে গেলে গোসলে যাওয়া।
১০. অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।