দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম স্থান অর্জন করেছে উপকূলের বিদ্যাপীঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়েবমেট্রিক্সের তথ্যমতে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চম স্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্টম রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নবম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দশম স্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ নিয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, “বিশ্বসেরা র্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি স্থান করে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম স্থানে উঠে আসা অনেক সম্মান ও গৌরবের বিষয়। তাই শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা কাজে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে নোবিপ্রবি র্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরের দিকে স্থান করে নেবে বলে আমি আশাবাদী।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. জসীম উদ্দীন বলেন, “ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে নোবিপ্রবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম স্থান অর্জন করায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্বিত। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি সফলতার ধারা অব্যাহত রাখবে বলে বিশ্বাস রাখছি।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, “আমাদের ছোটখাটো যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধান করে আমরা সামনে আরও ভালো কিছু করব। আজকের এই অর্জনে আমরা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার খুশি। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।”
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন, “নোবিপ্রবি পরিবারের সবার সহযোগিতা ও পরিশ্রমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। নোবিপ্রবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সামনে নোবিপ্রবি আরওও ভালো কিছু করবে, ইনশাআল্লাহ।”