• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতার হস্তক্ষেপ


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতার হস্তক্ষেপ
লাল পাঞ্জাবি পরা ছাত্রদলনেতা মোহাম্মদ ইয়াসিন। ছবি : প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বাংলার মুখের প্রধান নেতা আবু বকর ত্বহাকে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে মারধরের উসকানি, অতীতে হল দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ত্বহাকে বাঁচাতে দলবলসহ ছুটে আসেন ত্বহার আপন বড় ভাই শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন।

শিক্ষার্থীরা ত্বহার বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই আন্দোলনকারীদের মারধরের অভিযোগ আনেন। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন প্রক্টর। তাদের বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রহরী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, “আমি এখানে এসেছি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলতে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কিংবা ভাইকে বাঁচানোর জন্য না। শিক্ষার্থীরা তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসেছেন, তাই আমার এখানে আসা। আগামীতে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে আনা হলে আমি আবার আসবো শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় মোহাম্মদ আলী বলেন, “অভিযুক্ত ত্বহা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসাবে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য আজকে প্রশাসনিক ভবনে এসেছিলেন। এসময় তাকে আমরা ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। মূলত তিনি গত ১৪ জুলাই জিরো পয়েন্ট এলাকায় শিক্ষার্থী হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলার মুখ বগির লিডার ছিলেন।”

ছাত্রদল নেতা ইয়াসিনের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, “তিনি এখানে (প্রক্টর অফিসে) শিক্ষার্থীদের পক্ষে এসেছেন এটাও বলব না, আবার দলীয় ব্যানারে এসেছেন এটাও বলব না। তিনি তার ভাইকে বাঁচাতে এসেছেন।”

নাট্যকলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী রিজাউর রহমান বলেন, “অভিযুক্ত ত্বহা ১৪ জুলাই রাতে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী সুমনকে হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি এবং পরবর্তীতে তার বাবার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ত্বহাকে আমার অফিসে নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দাখিল করতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। যার কারণে আমি তার বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।”

Link copied!