• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সবার দায়িত্ব’


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম
‘প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সবার দায়িত্ব’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছবি : সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সবার সামাজিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেছেন, “প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সবার ইনভলবমেন্ট প্রয়োজন। অবকাঠামো, জনবল, যন্ত্রপাতির কিছু সমস্যা আছে। অনেক অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে, অনেকগুলো নির্মাণাধীন।”

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “যেখানে দরকার সেখানে অবকাঠামো হয়নি, যেখানে দরকার নাই, সেখানে অবকাঠামো হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এবং স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের স্টাডি করার অনুরোধ করছি।”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি এবং দুর্ভোগও কিছুটা আছে। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সবার সামাজিক দায়িত্ব। প্রাথমিকের কারিকুলামে কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার মূল সমস্যা বা বেসিক ত্রুটি  হলো, বই ও জীবন চলার মধ্যে কোনো বাস্তব মিল নাই। দুনিয়া দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়া শেখালে অনেক উপকার হবে। শিক্ষার্থীদের সত্যিকার ভাষাতে দক্ষ করে তুলতে হবে।”

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “শিক্ষার্থীদের যদি গাণিতিক ও নিত্যদিনের  ভাষায় দক্ষ করে তুলতে পারি, পড়ার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা দেখাতে পারি তাহলে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়ে হাইস্কুলে গেলে শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার জন্য অভিভাবকদের চিন্তা করতে হবে না। এটা যদি না হয়, তাহলে সারাজীবন সমস্যায় পড়তে হবে।”

শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “অনেক জায়গায় অনেক স্কুলে প্রাথমিকে ছাত্র নাই, আবার অনেক জায়গায় প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র-ভর্তির জন্য অভিভাবকদের চাপ রয়েছে। শিক্ষকরা যদি তাদের দায়িত্ব সিন্সসিয়ারলি করেন, তাহলে সব পাল্টে যাবে। যার যে কাজ সেটি করলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। বাচ্চাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হউন, তাহলে বাচ্চারা আরও বেশি মনোযোগী হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের বিষয়টি চর্চা করাবেন।”

জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. আলী রেজা, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন, পিটিআইএর সুপারিনটেনডেন্ট মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!