দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একেক অঞ্চলে একেক সময়ে স্কুল ছুটি নির্ধারণ করার কথা ভাবছে সরকার। ইতিমধ্যে সারা দেশে একযোগে শীতকালীন কিংবা গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়ার যে নিয়ম প্রচলিত আছে, তা পরিবর্তনের জন্য আলোচনাও হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত জেন্ডার রেসপন্সিভ স্কুল অ্যান্ড কমিউনিটি সেফটি ইনিশিয়েটিভস (জিআরএসসিএসআই) প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব তথ্য জানান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।
অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন ছুটি যখন দেওয়া হয়, সেই সময় যদি কিছু এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গসহ কিছু এলাকার শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে বন্ধ পাবে। ঠিক সেভাবে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বন্যার সময়ে ছুটি পেতে পারে। এ বিষয়ে একটি রূপরেখা শিগগির আসবে।
দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের জাতীয় পর্যায়ে দুর্বলতা হচ্ছে অনেক দুর্গম এলাকায় আমরা যেতে পারছি না। এসব এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলো কাজ করছে, যা সরকারকে সহযোগিতা করছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা এখন দুর্যোগ মোকাবিলায়, সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। এই প্রকল্পটি স্কুল শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কমিউনিটির উদ্যোগের মাধ্যমে একটি দুর্যোগ সহনশীল, নিরাপদ স্কুল এবং কমিউনিটিতে অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ব্যাপকভাবে অবদান রেখেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. মো. শহীদ উজ জামান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন আফরোজ মহল।