• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন পরিকল্পনা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন পরিকল্পনা
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫১টি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানকে একই এলাকার অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। কারণ, প্রতিবছরই কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস না করার ঘটনা ঘটছে, যার পুনরাবৃত্তি চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, “এবার আমাদের অন্যরকম চিন্তাভাবনা আছে। কয়েক বছর ধরে কেউ পাস না করা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যালোচনা করে যদি দেখা যায় যে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান এ রকমই, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশের অন্য প্রতিষ্ঠানে একীভূত করা যায় কি না, সেটা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, “আমরা গত বছর ৪টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদান অনুমোদন বাতিল করেছি। এবারও করব। কারণ লেখাপড়া না হলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাই জরুরি।”

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন  পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ২ হাজার ৯৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর ৫১টি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। কেউ পাস না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ৩টি, রাজশাহী বোর্ডের দুটি, দিনাজপুর বোর্ডের ৪টি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেউ পাস না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নন-এমপিও ও এমপিওভুক্ত স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। কেউ পাস না ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টিই মাদ্রাসা। মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও ছাত্রছাত্রী না থাকলেও সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। গত এক বছরে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের পাঠদান অনুমোদন, একাডেমিক স্বীকৃতি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্তর অনুমোদন (দাখিল ও আলিম স্তর) ও খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অনুমোদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে মাদ্রাসা কিংবা সাধারণ স্কুলের ক্ষেত্রে।

Link copied!