সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ৪ আগস্ট অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “পরীক্ষা পেছানো নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। আশা করছি আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারব।”
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশে চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতই রাখা হবে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের এক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, “এই মুহূর্তে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর পরিবেশ নেই। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী আহত হলে এর দায়ভার কে নেবে? সে জন্য পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে “
পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলতে কী বোঝাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, মেস বা ছাত্রাবাসগুলো খোলা, কারফিউ পুরোপুরি শিথিল হওয়া—আপাতত এ তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে তিন দফায় আট দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। প্রথমে গত বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তারপর একসঙ্গে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তী পরীক্ষা ছিল আগামী রোববার (২৮ জুলাই) ও ১ আগস্ট। এই পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। এখন আগামী ৪ আগস্টের পরীক্ষাও স্থগিত করার বিষয়ে ভাবছে সরকার।