শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) । রোববার (৩ নভেম্বর) এই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এনসিটিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে, তা জানালে অবশ্যই বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন-পরিমার্জন করা হবে। কিন্তু অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রমের নাম দিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে একাধিক শিক্ষককে হাঁসের ডাক নিয়ে অভিনয় করতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে সাইকেল চালানোর অভিনয় দেখানো হয়েছে।
এমন অবস্থায় এনসিটিবি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী সম্প্রতি নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা জাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজকে শিক্ষাক্রমের কাজ বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিছু লোক ব্যাঙের লাফ বা হাঁসের ডাক দিচ্ছে—এমন ভিডিও আপলোড করে বলা হচ্ছে এটি নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। নতুন শিক্ষাক্রমে সব ধর্ম–বর্ণের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিকশিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিপন্ন করার প্রচেষ্টা যারা করছে, তাদের এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
এনসিটিবির সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের মিথ্যা বিষয় আপলোড, শেয়ার বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্যও অনুরোধ করেছে এনসিটিবি।