এসএসসিতে শতভাগ পাশসহ ৯৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়ে দেশ সেরা ফলাফল অর্জন করেছে নরসিংদীর নাসিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস্। রাজধানীসহ দেশের নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে এমন সাফল্যে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা।
রোববার (১২ মে) ফলাফল ঘোষণার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করে ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি অভিভাবকদের হাসিমাখা মুখ উৎসব মুখরিত করেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস্ ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিবছরই বোর্ডে দেশ সেরার স্থান দখল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৯৪ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। বাকি একজন শিক্ষার্থী জিপিএ ৪ দশমিক ৯৪ পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও মিসেস নাছিমা মোল্লা।
এর আগে ২০২৩ সালে শতভাগ পাসসহ ৯৭ দশমিক ১২ শতাংশ জিপিএ ৫ ও ২০২২, ২০১৭ এবং ২০১৫ সালে শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে দেশ সেরা ফলাফল অর্জন করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি।
ফলাফল প্রকাশের পর বিদ্যালয়ে ভিড় জমায় শিক্ষার্থীরা। তারা বাদ্যের তালে নেচে উল্লাস করে ও মিষ্টি খাইয়ে ফলাফল উদযাপন করেন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া আছিয়া জান্নাতুল বর্ষা বলেন, “আমার শিক্ষক ও অভিভাবকদের দোয়া ও পরিশ্রমের ফলে এই ফলাফল অর্জন করেছি। স্যারদের দিক নির্দেশনায় পড়াশোনা করেছি। তাই আজকে সবার সঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়ার আনন্দ করতে পারছি।”
আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, “বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই আমাদের এই ভাল ফলাফল সম্ভব হয়েছে। আমরা দেশসেরা স্কুল হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, “আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বরাবরই দেশসেরা ফলাফল করছে। এবারও শতভাগ পাসসহ দেশসেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সারা দেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি আমরা দেশসেরা অবস্থানে আছি। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানব সম্পদে পরিণত হোক। যাতে আমাদের সমাজে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়। আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার নয়, এই সাফল্য পুরো নরসিংদীবাসীর।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন বলেন, “আমরা এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে। শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান, রুটিন মাফিক পরীক্ষা, হোম ভিজিটসহ নিবিড় পরিচর্যার ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা এ সাফল্য অর্জন করেছে। ফলাফলের দিক দিয়ে আমরা দেশসেরা হয়েছি।”