• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আবরার ফাহাদ’ স্মরণে শাবিপ্রবিতে একাধিক কর্মসূচি পালন


শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
‘আবরার ফাহাদ’ স্মরণে শাবিপ্রবিতে একাধিক কর্মসূচি পালন

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ।

প্রতিবাদ সমাবেশে ফাহাদ স্মৃতি সংসদের নেতারা বাংলাদেশের ওপর ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দিতে সবাইকে স্বোচ্চার থাকার আহ্বান জানান। এসময় জুলাই বিপ্লবে নিহত হওয়া আবু সাঈদকে নিয়ে কটাক্ষকারী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ফেইসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানান।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, “আজ ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার ভাই আবরারকে হাসিনার গুন্ডাবাহিনী নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আবরার ফাহাদ আমাদের অনুপ্রেরণা। আগামী দিনগুলোতে ভারতের যেকোনো আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে স্বোচ্চার থাকতে হবে।”

পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান মাসরুর বলেন, “বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। এই নতুন দেশে আমরা আর কোনো গুন্ডা-মাস্তান চাই না, যাদের হিংস্র হামলার শিকার হবে আবরারের মতো মেধাবী শিক্ষার্থী।”

মাসরুর আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের মনে যে স্পিরিট জেগে উঠেছে সেটাকে ধরে রাখতে হবে যেন কোনো সরকার এসে আবার ভারতীয় আগ্রাসনকে প্রশ্রয় না দেয়।”

এদিকে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি মৌন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের শাবিপ্রবি শাখার দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, “রাষ্ট্র ব্যবস্থায়  দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছিল স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের কাছে। যেখানে ছাত্ররাজনীতির নামে প্রতিপক্ষকে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তার ব্যতিক্রম ছিল না। ছাত্রলীগের অপরাজনীতির বলি হতে হয় বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে, যা ছিল ছাত্রলীগের বিগত ১৫ বছরে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের একটি উদাহরণ মাত্র। আবরার ফাহাদ ছিলেন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটি জাগ্রত কণ্ঠস্বর।”

Link copied!