দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম-নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির জন্য সংরক্ষিত ৫% কোটা বাতিল করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)
সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাউশি থেকে জারি করা ভর্তি নীতিমালায় এ সংশোধনী আনা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ের জন্যই কেবল ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এসব আসনে ভর্তি করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১%, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০%, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২%, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহদোর ভাই-বোন ৫% কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখা ২-এর শিক্ষা অফিসার জি এম মোস্তাফিজুর জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণত ৬-১৩ বছরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। এবার ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা থাকছে না। তবে তাদের ছেলে-মেয়ের কোটা থাকবে। যদিও এ ক্ষেত্রে এমন বয়সী সন্তান খুবই কম।
জি এম মোস্তাফিজুর আরও জানান, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। যদি শুধু ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে ৫% কোটা ফাঁকা থাকে, তাহলে মেধাতালিকা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ মিলবে।
এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে এবং পাওয়া না গেলে তাদের নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল।
