বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরির লক্ষ্যে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ওই গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২ জুন) কমিটি প্রথম সভায় বসবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা ওই কমিটিতে শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল ও অবসর-সুবিধার বিদ্যমান জটিলতা স্থায়ীভাবে নিরসন এবং তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে একটি প্রতিবেদন তৈরি ও সুপারিশ করবে ওই কমিটি। এরপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হয় গত ৬ মে। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পেয়ে আসছেন। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসরসুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসরসুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়।