নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সঙ্গে ইরাসমাস প্লাস অ্যাগ্রিমেন্টের আওতায় তুরস্কের পামুক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি উপাচার্য দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ও পামুক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমেত কুতলুহান।
এসময় নোবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান, নোবিপ্রবি ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবরেশন সেন্টারের (আইসিসিসি) অতিরিক্ত পরিচালক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাওসার হোসেন এবং নোবিপ্রবি আইসিসিসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আবু জুবায়ের উপস্থিত ছিলেন।
পামুক্কালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-রেক্টর অধ্যাপক ড. তুরান কার্দেনিজ, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এন্ডার কজকুন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর ড. অনুর কুলাক।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে এ ধরনের সমঝোতা দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। নোবিপ্রবির সঙ্গে পামুক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সমঝোতা স্মারক ভবিষ্যতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আরও দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।”
পামুক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-রেক্টর অধ্যাপক ড. তুরান কার্দেনিজ বলেন, “উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক এ সমঝোতা একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। নোবিপ্রবির আন্তরিক আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। আমি আশা করি এই চুক্তির মাধ্যমে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পামুক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখার লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।