টুঙ্গিপাড়াস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। বুধবার (২২ মে) ইনস্টিটিউটের জায়গা এবং ভবন ঘুরে দেখেন তিনি।
এসময় ইনস্টিটিউটের জায়গায় স্থাপিত ভবন সংস্কার, নতুন ভবন স্থাপনসহ চলমান প্রকল্পের নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেন মশিউর রহমান।
ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান উপাচার্য। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে উপাচার্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পরিদর্শন বইয়ে উপাচার্য মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
এতে উপাচার্য লিখেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে এসে বারংবার হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণা, ক্ষোভ আর বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর বেদনায় সিক্ত হই। পিতা মুজিবকে সপরিবারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংসভাবে হত্যা করা না হলে, তার বর্ণিত দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি হতো বিশ্বব্যাপী নতুন অর্থনীতির মডেল। পুঁজিবাদী থাবায় পৃথিবী যে আজ বিপর্যস্ত, যুদ্ধাংদেহী। এর বিপরীতে মুজিব দর্শন ছিল মুক্তির, মানবিকতার আর সমাজ বদলের এক বাস্তব ভাবনা।”
উপাচার্য আরও লিখেন, “আজ টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পূর্বে নির্মিত ভবনের সংস্কার কাজ, আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি অনুসন্ধান কাজের মূল্যায়ন করতে এসে সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শানিত করার সুযোগ পেলাম।”
এসময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক সুমন চক্রবর্তী, প্রকৌশল দপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হক, উপপরিচালক মুহম্মদ রনজু আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।