কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গত ১৯ মার্চ থেকে সাত দফা দাবি পূরণের দাবি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করছে। শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান দাবি হলো—১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের দপ্তরে শিক্ষকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা ও ঘটনার তদন্ত করা। পাশাপাশি হামলায় মদদ দেওয়া প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে অপসারণ করা।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার অতিথিশালা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা; অধ্যাপক গ্রেড ১ ও ২-তে আবেদন করা শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ এবং ইতিমধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করা; শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি স্থায়ীকরণে আইনবহির্ভূত শর্তারোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্নের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা; ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা প্রত্যাহার করে আগের নীতিমালা বহাল এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
শিক্ষক সমিতির দাবি পূরণ না হওয়ায় গত মঙ্গলবার সাধারণ সভা করে শিক্ষক সমিতি। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরদিন থেকে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। তবে ওই কর্মসূচি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা (প্রথম বর্ষ স্নাতক) অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে শিক্ষক সমিতির নেতারা সকালে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা দেন। তাঁরা ওই তিনজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, “আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।”