খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মাদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য ড. শেখ শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান। এ সময় তিনি বলেন, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা নিরসন এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান আরও বলেন, অনতিবিলম্বে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আনন্দে উল্লাস শুরু করেন। অধ্যাপক ড. অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান অনশনরতদের মুখে শরবত তুলে দিয়ে তাদের অনশন ভাঙান। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল বের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করার কথা তাদের।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গত সোমবার বিকেল থেকে অনশনে যোগ দেন ৩২ শিক্ষার্থী।