• ঢাকা
  • রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুবি উপাচার্যের মতবিনিময়


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুবি উপাচার্যের মতবিনিময়
মতবিনিময় সভা। ছবি : প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।

মতবিনিময়কালে শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা মিম বলেন, “১১ জুলাই যখন আমার ভাইয়েরা পুলিশের বর্বরতার শিকার হয় তখন আমরা হল থেকে কয়েকজন মেয়ে বের হয়ে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনে যোগ দিই। পরের দিনগুলোতে ফ্রন্টলাইনে ছিলাম, নিজেও আহত হয়েছি। এসব বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু ১৮ জুলাই রাতে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়, আমরা তখন একটা মেসে আশ্রয় নিই এবং সেখানেও হামলার চেষ্টা করা হয়। আমি চাই, এসব বর্বরতার সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি হোক।”

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, “আমরা কুবি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে প্রথম হামলার শিকার হই। তখন আমাদের দুই হলের বোনেরা আমাদের ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। সব হলের, মেসে এবং সব জায়গার শিক্ষার্থীদের অবদানে আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমি শ্রদ্ধাভরে সকল শহীদদের স্মরণ করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন প্রশাসন এসেছে। তারা সেই স্বৈরাচারের আমলে ভাবতেও পারত না তারা এখানে আসতে পারবে। কিন্তু তাদের যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল। তারা আমাদের এই আন্দোলনের জন্য এই জায়গায় আসতে পেরেছেন বলে মনে করি। আমি আশা করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবেন। এখানে ধর্ম-বর্ণের কোনো বিভেদ আর থাকবে না।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদের সকল কথা শুনেছি। তাদের সব দাবি যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবি পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুইটি হলের নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে অফিশিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার। আব্দুল কাইয়ুমের নামে আমরা যে চত্বর করব, সেটির কাজ দ্রুত হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

হায়দার আলী আরও বলেন, “আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ এগুলো অনেক ব্যয়বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেলে, উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দেবো। তারা সাহায্য করবেন বলে আশা করছি।”

Link copied!