জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কাজী অফিসের ডিজিটাল সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে এমন সাইনবোর্ড দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দ্রুত বোর্ডটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের গেইটের ভিতরে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট ভবনের পাশে স্থাপন করা হয়েছে কাজী অফিসের ডিজিটাল সাইনবোর্ড।
শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী সানজিদা মাহমুদ বলেন, “ক্যাম্পাসের ভিতরে কাজী অফিসের এতো বড় একটা সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এটা সত্যিই হাস্যকর একটা ব্যাপার। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে কিনা জানিনা। দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি জানাচ্ছি।”
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, “একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে কাজী অফিসের এতো বড় ডিজিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হল। বিশ্ববিদ্যালয় এখন বিজ্ঞাপন বুথ হয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত এটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
সাইনবোর্ডের নাম্বারে কল দেওয়া হলে কাজীর সহকারী পরিচয় দিয়ে ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ বলেন, “যে ভবনের দেয়ালে বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে সেই ভবনেই আমাদের অফিস। প্রক্টর স্যারের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। তিনি অনুমতি দেননি। পরে আমরা ভেবেছিলাম সাইনবোর্ড লাগাতে আলাদা করে অনুমতি নেওয়া লাগবেনা। তাই ভবনের মালিককে বলেছিলাম বিলবোর্ড লাগানোর কথা। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনো ধরনের বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ড লাগানোর সুযোগ নেই। আমরা কোনো অনুমতি দেইনি। বিলবোর্ডটি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”