• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘নিপীড়কদের আস্তানা হয়ে উঠেছে জবি’


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
‘নিপীড়কদের আস্তানা হয়ে উঠেছে জবি’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী। ছবি : প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নিপীড়কদের ‘শেল্টার হাউজ’ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, “অবন্তিকার আত্মহত্যার পর আমাদের সামনে আরও কিছু ঘটনা এসেছে। যেখানে দেখা গেছে, নিপীড়করা এখানে দেধারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়কদের শেল্টার হাউজ হয়ে উঠেছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চুপ হয়ে আছে।”

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের আশ্বাস পেলেও বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে শিক্ষার্থী শাহ সোবহান সাকিব বলেন, “বুধবার (২০ মার্চ) আমরা স্মারকলিপির দাবিগুলো আপনাদের বলেছি। আজকে উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসায় তার কাছে জমা দিয়েছি। তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু আমরা আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”

জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, অবন্তিকা হত্যার সমস্ত প্রমাণ আমলে নিয়ে দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করতে হবে। অংকন বিশ্বাসসহ পূর্বে দায়ের করা সকল অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পূর্বতন প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ফাইরুজ অবন্তিকা এবং অংকন বিশ্বাদের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্মারক ফলক নির্মাণ করতে হবে।

Link copied!