• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

এক কুড়িতে জবি


সোহানুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
এক কুড়িতে জবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : প্রতিনিধি

‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’ প্রতিপাদ্য রেখে মহাসমারোহে নেচে গেয়ে র্যালি, বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ফলক পুনঃস্থাপন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘১৯তম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে এবারের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বেলুন ও পায়রা ওড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভিন্ন দপ্তরকে পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য অতথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি বের হয়। র্যালিটি পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক, জর্জ কোর্ট এলাকা ও রায় সাহেব বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন করা হয়। সোয়া ১১টায় মিনিটে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৪’ প্রদর্শনী এবং ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ২০২৪’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। ১১টা ৪০ মিনিটে নবীন শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো শেখ গিয়াস উদ্দিন এবং সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান প্রভার সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবিধ সমস্যা থাকার পরও একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যাবলী গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি, যার ফলে আমরা অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে আছি। এসব নানাবিধ চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।”

এ সময় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুর মূর্শেদ ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা, আইন অনুষদের ডিন খ্রিষ্টিন রিচার্ডসন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জবির আহত শিক্ষার্থী বক্তব্য প্রদান করেন।

দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল হয়। বিকেল ৩টায় জুলাই-২৪ বিপ্লবের থিমকে ধারণ করে সংগীত বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

Link copied!