সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি ও চলমান আন্দোলনে দেশের কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বটতলা হয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলসমূহের সামনের রাস্তাগুলো প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন? বিচার চাই বিচার চাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ ও ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম (৫ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, “হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। মনে রাখবেন শিক্ষার্থীদের ক্ষেপিয়ে তুললে দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠবে। তাই অতিদ্রুত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্থার করে সংসদে আইন পাস করুন।”
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল ও তৌহিদ সিয়াম প্রমুখ।