ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণসভায় শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের পাশাপাশি ২৪ এর গণ আন্দোলনে নিহতদের বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। এসময় বক্তারা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আবরারের সাহসী ভূমিকার স্মৃতিচারণ করেন। স্মরণসভার মধ্য দিয়ে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনকে স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে এবং বিগত প্রশাসনের মতো কোনো বিশেষ পক্ষের হয়ে কাজ না করারও দাবি জানান।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমন বলেন, “আমাদের এই স্মরণসভা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই আবরার ফাহাদের মহান ত্যাগকে স্মরণ করছি। আবরার ফাহাদ অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে রুখে দাঁড়াতে হয় তার একটি মঞ্চ তৈরি করে গেছেন। এই মঞ্চকে ব্যবহার করে আমরাও সকল প্রকার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে শক্ত হাতে রুখে দিতে চাই।”
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “এই স্মরণসভার মধ্য দিয়ে আমরা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের অদম্য সাহসকে স্মরণ করছি এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আবরার ফাহাদ জীবন দিয়ে দেখিয়ে গেছেন কীভাবে আগ্রাসণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়। আমরা তার এই ত্যাগের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্মরণসভার আয়োজন করেছি। যাতে করে নতুন কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারাও প্রতিরোধমুখী হয়।”
রিয়াজুল আরও বলেন, “প্রশাসনের প্রতি আমাদের চাওয়া- তারা বিগত প্রশাসনের মতো কোনো দলের অন্ধ গোলামি না করে স্বাধীনভাবে কাজ করুক। তারা অন্যায়কে অন্যায় এবং ন্যায়কে ন্যায় হিসেবে গ্রহণ করার সাহসটুকু রাখুক। তারা তাদের বিবেক দিয়ে তাদের দায়িত্বটুকু সম্পাদন করুক।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। পরদিন ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে।