জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী তার অভিযোগটি শেয়ার করেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি হেনস্তা হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “তিন-চার ধরে আমি এত অসুস্থ যে ওয়াশরুমে যেতে হলেও আমার সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে। আমি হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু টেস্ট করানোর পর প্রভোস্ট ম্যামের সাথে আমার মাকে হলে রাখার অনুমতির বিষয়ে কথা বলতে যাই। কিন্তু নিয়মে না থাকায় সেটা না করে দেন। পরে ম্যাম বাজেভাবে আমার মাকে নিয়ে নানা উদাহরণ দিতে থাকেন। তিনি আমাকে বলেন, তুমি তোমার মায়ের কথা বলে অন্য কাওকে নিয়ে আসতে পারো। তোমার আম্মু হলে এসে চুরি করতে পারে বা মেয়েদের গোপন ভিডিও করে ভাইরাল করতে পারে।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও বলেন, “ম্যাম আমাকে সরাসরি বলতে পারতেন যে এখানে এমন কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু আমার মাকে নিয়ে এভাবে বলতে শুনে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। পোস্টটির কমেন্টে দেখবেন অনেকের সাথেই ম্যাম এমন করছেন। আমি চাই এই বিষয়টি সামনে আসুক।”
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সাবিনা শরমিন বলেন, “আমার কথার থিমটা সে বুঝতে পারেনি। আমি তার মাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। হলের মেয়েরা কথা টুইস্ট করে বলে। তখন তো রেকর্ড অন রাখিনি যে আমি কী বলেছি সেটার প্রমাণ দিতে পারবো। হলে যদি একজন মেয়ের মা-বাবা থাকতে চায় তাহলেও অন্যরাও একই দাবি করবে। তখন আমি তাদের বাধা দিতে পারবো না। এটা নিরাপত্তার স্বার্থে বলা হয়েছে।”