• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬
গাজার গণহত্যা

জাতিসংঘের অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি জবি শিক্ষক সমিতির


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০২:১২ পিএম
জাতিসংঘের অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি জবি শিক্ষক সমিতির

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণ-হত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে তাঁতীবাজার মোড়ে পুলিশি বাধায় লংমার্চ কর্মসূচি ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং তিন কর্মসূচি দিয়ে বিক্ষোভ শেষ করে।”

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশে এ পদযাত্রা শুরু করেন তারা।

কিন্তু আজ থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার ও ও অন্যান্য নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, বিক্ষোভকারীরা রায়সাহেব বাজার দিয়ে তাঁতীবাজার মোড় থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

৩ কর্মসূচি হলো, ১. ইসরায়েলি পণ্য বর্জন থাকবে আজীবন ২. গাজায় বর্বরোচিত গণ-হত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো এবং প্রতি নামাজের পর তাদের দোয়া করা ও ৩. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বারকলিপির ফলো জানার পর আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

এ সময় ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইসরাইলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইলি আগ্রাসন, বন্ধ করো করতে হবে’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। এ ছাড়াও তাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরবের দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। স্মারকলিপিগুলো বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, “যদি গাজার ফিলিস্তিনদের ওপর বর্বরতা বন্ধ না হয়, তাহলে জাতিসংঘের অফিসে পরের সপ্তাহে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা শিক্ষক সমিতি গাজার গণ-হত্যা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জবি শাখার সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা মুসলিম জাতি, খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি। কিন্তু আমরা তা ভুলে গেছি। আজ আমরা শুধু ফতোয়াবাজিতে ব্যস্ত, যার সুযোগে ইহুদি-খ্রিস্টানরা মুসলিম ভাই-বোনদের হত্যা করছে। আমি মুসলিম যুবকদের জাগরণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আমি মুসলিম প্রধান দেশগুলোর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা জাগোন, আর কত ঘুমিয়ে থাকবেন। ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনদের নিশ্চিহ্ন করে দিল, আপনার এখনো ঘুমিয়ে আছেন।”

ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “গাজার গণ-হত্যার প্রশ্নে বিশ্ব মানবতাধিকার সংগঠন নিশ্চুপ। তাদের সঙ্গে চুপ হয়ে আছে আরব বিশ্ব। তারা তাদের ব্যাবসায়িক স্বার্থে চুপ হয়ে মুসলিম জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।”

Link copied!