জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শামীমা সুলতানা তার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলেছেন। কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও আটকের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলেন।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ প্রধানের কার্যালয়ে অধ্যাপক শামীমা সুলতানার বসা একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, দেয়ালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই।
এ বিষয়ে অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, “আমার মনে হয় মানুষের হৃদয় থেকে তার (শেখ হাসিনা) ছবি মুছে গেছে। তিনি কোটা আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন, আবার বার বার মিথ্যাচার করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তার হাতে অসংখ্য শিক্ষার্থীর রক্ত লেগে আছে। শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মতো। যার হাত আমার সন্তানের রক্তে রঞ্জিত, তার ছবি আমার দেয়ালে রাখতে চাই না। তাই তার ছবি দেয়াল থেকে সরিয়ে ফেলেছি।”
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীদের অফিস কক্ষ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।