জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের ৩০টি বাস আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বাসগুলো আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল ৪টায় বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা করে মুচলেকা নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেন।
ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর-২ এলাকা থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে করে ক্যাম্পাসে আসছিলেন ওই চার শিক্ষার্থী। তারা স্টুডেন্ট ভাড়া ২০ টাকা দিতে চাইলে বাসের হেল্পার ২৫ টাকা চান। শিক্ষার্থীরা হেল্পারকে ২০ টাকাই হাফ ভাড়া বলে জানালে বাসের হেল্পার অসদাচরণ করেন।
তখন শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিলে বাসের হেল্পার হান্নান জাহাঙ্গীরনগর নিয়েও গালিগালাজ শুরু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থী সায়েদ মুয়াজ হেল্পারের দিকে তেড়ে যান। তখন বাসের হেল্পার হান্নান সিটের নিচ থেকে লাঠি বের করে তাকে মারধর করেন। পরে বাসের মধ্যে থাকা তুফান নামের এক যাত্রী হেল্পারের সঙ্গে মিলে মুয়াজকে মারতে থাকেন। এসময় মুয়াজের সঙ্গে থাকা তিন ছাত্রী প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদেরকে হেনস্তা করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরীন জলি বলেন, “বাস কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন। তাদের কাছে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। তাদের যে বাসের হেল্পার অপরাধ করেছে সে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আর বাস কর্তৃপক্ষ ওই হেল্পারকে শাস্তি দেবে বলে জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। আর যে যাত্রী শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তার বিরুদ্ধে থানায় একটা অভিযোগ দেওয়া হবে।”